যখন বুঝতে পেরেছি, তখন সবকিছু শেষ- বললেন সেই ট্রেন চালক!

চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাইয়ে মহানগর’ প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে’ মিসরাই বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে কিছুই করার ছিল না বলে জানিয়েছেন ট্রেনটির’ চালক (লোকোমাস্টার) জহিরুল হক খান।

তিনি জানান মাইক্রোবাসটি অনেক’ দ্রুত রেল লাইন ক্রস করছিল ট্রেনও অনেক স্পিডে ছিল। ফলে সংঘর্ষ হয়েছে বুঝতে পারলেও ওই মুহূর্তে কিছু করার’ ছিল না। গণমাধ্যমকে তিনি বলে গাড়িটি এত কাছাকাছি চলে আসছে ট্রেন থামানো যায়নি। সাধারণত একটি ট্রেন থামাতে হলে ৪০০ গজ পর্যন্ত’ দূরত্ব থাকতে হয়।

তবুও সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন কন্ট্রোলের চেষ্টা করি। কিন্তু এর আগেই ইঞ্জিনে উঠে যায় মাইক্রোবাসটি। তখন সবকিছু’ শেষ। জহিরুল খান বলেন লেভেল ক্রসিংয়ের আগে গাছের জন্য বার (ব্যারিয়ার) ফেলা ছিল কি না’ দেখা যায়নি। তবে গেটম্যান থাকলে বার পড়ত তখন মাইক্রোবাসটি ঢুকতে পারত না।গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে’ বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় মীরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত’ হন এই ১১ জন।

স্থানীয়রা জানান রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা থেকে’ চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতী ট্রেন প্রায় এক কিলোমিটার সামনে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা’ খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসছিলেন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান ট্রেনটি বড়তাকিয়া স্টেশন পার হওয়ার সময় লেবেল ক্রসিংয়ের বাঁশ ঠেলে রেললাইনে উঠে যায় মাইক্রোবাস। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *