বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলা বিএনপি’ নেতাদের মুখে শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন’ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি কোন মুখে বড় কথা বলে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই? বিএনপি’ আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি পেয়েছিল খাম্বা।
তারপরও তারা কীভাবে বিদ্যুৎ নিয়ে’ কথা বলেন? মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে তার বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। লোডশেডিং’ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন মিথ্যা বক্তব্যের জবাব দিতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন’ করা হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল দিনের পর দিন যাদের শাসনামলে দিনের’ অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলতো শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে’ কথা বলে। তিনি বলেন জনগণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনো ভুলে যায়নি। ভুলে যায়নি বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে’ গুলির কথা হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাওয়ের কথা।
দেশ ও জনগণের কল্যাণে’ সরকারের গৃহীত এবং গৃহীতব্য ব্যবস্থার সঙ্গে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন দেশবাসীকে সাময়িক এ অসুবিধায়’ ধৈর্য ধরা এবং সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যিনি সংকটকে’ সম্ভাবনায় রূপ দেন তার ওপর অতীতে যেমন আস্থা রেখেছেন এখনো রাখুন।
কারও কথায় কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন’ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংকট থেকে উত্তরণ হবে। লোডশেডিংয়ের’ কারণে সরকারের পতন হবে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন বিএনপি নেতাদের এমন রঙিন খোয়াব’ অচিরেই দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন করোনার কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক’ কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়েছে বাংলাদেশেও করোনার করাল গ্রাসের সঙ্গে সংগ্রাম করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নিজেদের অর্থনীতিকে’ সচল রেখেছেন।
সাম্প্রতিকালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর আন্তর্জাতিক পরিণতি’ বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আবারও কিছুটা হুমকির মুখে ফেলেছে। এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন’ যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের’ অর্থনীতি যাতে বড় কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন’ জাপানের মতো উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে’ নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারছে না একই অবস্থা অস্ট্রেলিয়ারও। তাই সবাইকে এই সংকটকালে রেশনিং’ করতে হচ্ছে।