‘আল্লাহপাকের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, অভিশাপ নিয়ে আমি মরতে চাই না!

মিথ্যা বলার কারণে একজন ভোক্তাও যদি ব্যাথায় বা কষ্টে “উহ!” বলে ওঠেন, সেটার জন্য আল্লাহপাকের কাছে জবাবদিহি আমাকে করতেই হবে। এই হক নষ্টের অভিশাপ নিয়ে আমি মরতে চাই না বলেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। সম্প্রতি তিনি ইউনিমার্টের এডভাইজর হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার জন্য তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন বলে জানান। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে তার ভেরিফায়েড পেইজে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, ইউনিমার্টের এডভাইজর হিসেবে জয়েন করার পূর্বে ইউনাইটেড গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এমডি মহোদয়ের সাথে প্রথম সাক্ষাতে বলেছিলাম, আমি এখানে চাকুরি করতে আসব না।

আমার একটি মিশন ও ভিশন আছে। আছে সমাজের প্রতি দায়। আমাকে সেটা পূরণে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। আর তা হচ্ছে, আপনার এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান করা। তিনি পোস্টে আ লিখেন, আমরা একটি একটি করে খাদ্য পণ্যকে নিরাপদ করব ইনশাআল্লাহ। সময় যতদিন লাগে লাগুক। তিনি আমাকে কাজের স্বাধীনতাসহ সর্বপ্রকার সহায়তার নিশ্চয়তা দিলেন। শুরু হল নতুন এক আঙ্গিক এবং প্রেক্ষিতে পথ চলা। এতদিন ছিলাম টেবিলের একপাশে, এবার অন্যপাশে। ছিলাম সরকারে, এবার প্রাইভেটে।

কেমন লাগছে সেটা পরে বলব ইনশাআল্লাহ। প্রথমেই হাত দিলাম প্রোটিন চাহিদার দিকে, যেটা বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কমবেশি প্রতিদিন আমরা সবাই খেয়ে থাকি। ডিম এবং মুরগি। যা হবে একেবারেই নিরাপদ। থাকবে না এন্টিবায়োটিক রেসিডিউ এবং হেভিমেটাল। মিলন লিখেন, প্রথমেই হাত দিলাম প্রোটিন চাহিদার দিকে, যেটা বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কমবেশি প্রতিদিন আমরা সবাই খেয়ে থাকি। ডিম এবং মুরগি। যা হবে একেবারেই নিরাপদ। থাকবে না এন্টিবায়োটিক রেসিডিউ এবং হেভিমেটাল।

শুরুটা হোক অন্তত এক জায়গা থেকে। এটা করতে পারলে একটা থ্রাস্ট এবং ওয়েভ ক্রিয়েট হবে। যেটা উৎপাদক বা খামার থেকে বিক্রয় বা বিপণনকারীর মধ্যে একটি প্রতিযোগীতার সৃষ্টি করবে। যা হয়ত একদিন বিপ্লবে রূপান্তরিত হবে। যদি বলি এটা ভাল বা নিরাপদ, তা আমি শতভাগ নিশ্চিত এবং দায় নিয়েই বলব। কারণ মিথ্যা বলার কারণে একজন ভোক্তাও যদি ব্যাথায় বা কষ্টে “উহ!” বলে ওঠেন, সেটার জন্য আল্লাহপাকের কাছে জবাবদিহি আমাকে করতেই হবে। এই হক নষ্টের অভিশাপ নিয়ে আমি মরতে চাই না। এখানে কোম্পানির মালিক থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি যে পরিমাণ সন্মান, শ্রদ্ধা ও স্নেহ করেন আমাকে, তাতে আমি অভিভূত এবং বিস্মিত। আমি গর্বিত ইউনাইটেড পরিবারের সদস্য হিসেবে।আর হ্যাঁ, দোয়া করবেন, সব কিছু ঠিক থাকলে একটি নিরাপদ আইটেম হয়ত আগামিকাল আপনাদের সেবায় তুলে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *