মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করায় বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা মসজিদ ত্যাগ করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাকুণ্ডুর বাকচুয়া-লক্ষ্মীপুর জামে মসজিদে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) জুমার নামাজ শেষে মসজিদে অগ্নিদগ্ধে নিহত স্হানীয় মিনারুল ইসলাম ও তার পিতার জন্য এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সে সময় কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই স্থানীয় জামায়াত নেতা নিজাম উদ্দিন লস্কর দাঁড়িয়ে দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনার জন্য মসজিদের ইমামকে আহ্বান জানান। উপস্থিত মুসল্লিরা এতে আপত্তি করলে নিজাম লস্কর তাদের দোয়া মাহফিলে শরীক না হলে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এ সময় মসজিদের ভেতর হট্টগোলের সৃষ্টি হয় এবং কিছু বিক্ষুব্ধ মুসল্লি মসজিদ ত্যাগ করেন। এর পরপরই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়।
নিজাম লস্কর হরিণাকুন্ডুর পুলিশ সদস্য ওমর ফারুক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা যায়।
মুসল্লি ইসলাম মন্ডল বলেন, আমি শেষ পর্যন্ত মসজিদে ছিলাম। নিজাম লস্করের নেতৃত্বে একজন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত রাজাকারের জন্য মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে প্রকাশ্যে দোয়া-মোনাজাত পরিচালিত হতে দেখে আমি স্তম্ভিত।
স্থানীয় মুসল্লি শাকিল মোল্লা বলেন, নিজাম লস্কর মসজিদে হঠাৎ করে দাঁড়িয়েই রাজাকার সাঈদীর জন্য দোয়া করতে বলে। এতে আমরা প্রতিবাদ করি এবং মসজিদ থেকে বের হয়ে আসি। এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই আমরা।
ঘটনার বিষয়ে জানতে নিজাম লস্করের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আবু আজিফ বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে জানায়নি। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে