তিনজনই ইংল্যান্ড জাতীয় দলের’ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে দুইজন মুসলমান। দুজনেরই ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে খ্যাতি রয়েছে’ ক্রিকেটববিশ্বে। কিছু দিন আগে জাতীয় দল ও ক্লাব থেকে ছুটি নিয়ে পবিত্র হজ করে এসেছেন রশিদ। আগেই’ হজ করেছেন মঈন।
দুই তারকা এবার সদ্য সাবেক হওয়া ইংলিশদের সীমিত ওভারের অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের’ বিশ্বাস ও সৌন্দর্য নিয়ে আলোচনা করলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে’ চলাকালীন গ্যালারিতে বলেছিলেন তারা। যেখানে অবসরের পর স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ছিলেন মরগান।
কথা বলেছেন মঈন’ আলীর সঙ্গে যিনি প্রথম ব্রিটিশ মুসলিম হিসেবে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেন। সদ্য হজ’ শেষ করে দেশে ফেরা আদিল রশিদের সঙ্গেও কথা হয়। হজের কারণে ভারতের বিপক্ষে সীমিত ওভারের’ সিরিজে খেলতে পারেননি রশিদ। এমনকি পরে ইয়র্কশায়ারের হয়ে টি-২০ ব্লাস্টেও অংশগ্রহণ করেননি।
মরগানকে মঈন আলী বলেন হজ আমাদের ইসলাম’ ধর্মে পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের অনেকেই রোল মডেল’ হিসেবে জানে। তবে আমাদের মুসলিমদের মডেল হচ্ছে মহানবী (সঃ)। আমাদের ধার্মিক হিসেবে রোজা ও ইবাদত করতে হয়। আদিল রশিদ’ বলেন আপনি যেখানেই থাকেন না কেন এই ধর্ম আপনাকে ধৈর্য ও মহান হতে শেখাবে।
পরে’ মরগান জানতে চান ইসলাম ধর্মের সৌন্দর্য ইংল্যান্ড দলের ড্রেসিং রুমে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে কিনা? জবাবে মঈন বলেন ইংল্যান্ড দল’ বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করেছে। এই বৈচিত্র্য দুর্দান্ত। আমরা এই বৈচিত্র্য অনেক ভালোবাসি। হজের কারণে’ অবশ্য রশিদকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ও ইয়র্কশায়ার থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। জুনের শেষ সপ্তাহে তিনি সৌদি’ আরব যান ও জুলাইয়ের মাঝে ফেরেন।