মার্কিন ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, মন খারাপ করবেন না। কে কী দিল এসব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা মাথা ঘামান না। বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে, তাতে কান দেবেন না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাংগঠনিক জেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে এই সভা করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
পৃথিবীর কোথাও ভিসা নীতি যায় না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুধু কি বাংলাদেশকে পেয়ে বসেছেন! আমরা বন্ধুহীন নই, শেখ হাসিনা সরকার বন্ধুহীন নয়। আমরা দেশেও বন্ধুহীন নই, বিদেশেও না।’
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চেতনায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ। শুধু একটি নির্বাচন নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই করে বাঁচাতে হবে।
বিএনপির প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও দণ্ডিতকে কীভাবে তারা নেতা বানাবে? যারা ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে, ভোট চুরি করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের কাছে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কী সবক নেবে?
বিরোধীদের আন্দোলনের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবারও আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করলে আমরা বসে থাকব না। যে হাত আগুন নিয়ে আসবে সে হাত পুড়িয়ে দেব। যে হাত লাঠিসোঁটা নিয়ে আসবে, সে হাত ভেঙে দেব। যেমন কুকুর তেমন মুগুর।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও দেশবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্ধকারের শক্তি চ্যালেঞ্জ করছে, আমাদের লড়তে হবে। তারা নির্বাচন বানচাল করবে, সেটি আর সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়বে।’ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির অপতৎপরতা রুখতে নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির অত্যাচারে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। তাদের নিপীড়নে আওয়ামী লীগের চোখের পানি শুকিয়ে গিয়েছিল।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।