সরকা”রের পদত্যা”গ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের “একদফা “দাবিতে আন্দোলনে আছে বিএনপি ও তাদের” মিত্ররা। গ”ত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ঘিরে স”হিংস ঘট”নার পর থেকে হরতাল-অবরোধের মতো
কর্মসূচি” পালন কর”ছে তারা। অবশ্য দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই” এখন কা”রাগারে। আর গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগো”পনে আছে”ন বাকিরা। ঠিক এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপির” স্থায়ী ক”মিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ
টুকুর হ”ঠাৎ করে “দিল্লি সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে না”না আলো”চনা। জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে চিকিৎসা”র জ”ন্য থাইল্যান্ড যান ইকবাল হাসান মাহমুদ “টুকু। বিদে””শে থাকা অবস্থায় গত ৩০ মে দুর্নীতির
মামলা”য় টুকুর ৯ বছ”রের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপর “থেকে তিনি “ঘুরেফিরে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে” অবস্থান “করছেন। এরই মধ্যে মাসখানেক আগে ভারতে “এসেছিলেন” বিএনপির এ নেতা। টুকুর ঘনিষ্ঠজনরা জানান”, ব্যক্তিগত “কাজে তিনি ভারত সফর করেন। তবে
রাজনৈ”তিক অঙ্গনে “আলোচনা আছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে “রেখে বিএনপি”র সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপে”র প্রেক্ষাপ”টে ভারত সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের” কাছে দলে”র অবস্থান তুলে ধরতে হাইকমান্ডের
নির্দেশে দে”শটিতে গি”য়েছিলেন তিনি। সফরকালে রাজস্থানে আজমি”র শরিফে “খাজা মাঈনউদ্দীন চিশতির (র.) মাজার” জিয়ারত ছা”ড়াও তিনি দিল্লিতে ভারত সরকারের দায়িত্ব”শীল অনেকের” সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। “এ ছাড়া ইক”বাল হাসান মাহমুদ টুকু কলকাতায়ও
গিয়েছি”লেন। দীর্ঘদিন” ধরে ভারতে অবস্থানে বিএনপির স্থায়ী কমি”টির সদস্য” সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হ”য়েছে ব”লে জানা গেছে। ওই সফরের সময় ভার”তের প্রভাবশা”লী দৈনিক দ্য হিন্দুকে একটি সাক্ষাৎকার দেন এ “বিএনপি নে”তা। সেখানে বাংলাদেশের দ্বাদশ
জাতীয় “সংসদ নির্বা””চন নিয়ে দলের অবস্থান এবং বিএন”পির দীর্ঘদি”নের মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বক্তব্য “দেওয়ায় টুকু”র ভারত সফরের বিষয়টি সামনে চলে আসে”। গত ৮ নভে”ম্বর দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত একান্ত সাক্ষা”ৎকারে টুকু “নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া
বাংলাদে”শে আসন্ন” জাতীয় নির্বাচন বয়কটে দলের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত” করেন। এক”ই সঙ্গে তিনি গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় “বিএনপির ম”হাসমাবেশে সহিংসতার পেছনে সরকারি” সংস্থাগু”লোকে অভিযুক্ত করেন এবং ওই ঘটনাকে ঘিরে বি”রোধীদের “বিরুদ্ধে সরকারের ক্র্যাকডাউন চালানোর
অভিযো”গ আনেন। “বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের করণীয় নিয়েও” কথা বলে”ন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। বাংলাদে”শের জন”গণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতি ভারতে”র দ্ব্যর্থহীন “সমর্থন দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। “ইকবাল হাসা”ন মাহমুদ টুকু বলেন, ‘ভারতের
উচিত “বাংলাদেশে”র জনগণকে সেইভাবে সমর্থন করা, যেভা”বে তা”রা ১৯৭১ সালে আমাদের সমর্থন করেছিল। আজ “বাংলাদেশের” জনগণ তাদের স্বচ্ছ নির্বাচনের অধিকা”র ছাড়াই বাস কর”ছে। আমার দেশের একজন নাগরি”ক হিসেবে” আমি আশা করি, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের
অব”ক্ষয়ের মুখে” ভারত চুপ করে থাকবে না। তবে এখন পর্যন্ত” আমরা ভা”রতের পক্ষ থেকে এমন কোনো মন্তব্য দেখি”নি, যা এক”টি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসি”নাকে প্ররোচিত করতে পারে।’ওই সাক্ষা”ৎকারে জামা”য়াতে ইসলামী সম্পর্কে টুকু বলেন,
‘বিএন”পি একটি “ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল, যারা ‘রাজনৈ”তিক ইসলা”ম’-এর বিরোধিতা করে। বিএনপি একটি “উদার গণতান্ত্রি”ক দল। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে রা”জনৈতিক “জোট যেভাবে হয়, ঠিক সেভাবেই জামায়াতের” সঙ্গে আ”মাদের জোট হয়েছিল। সেটা এখন অতীত। “এখন প্রধানম”ন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি প্রশ্ন তোলা
উচিত—কে”ন তিনি জা”মায়াতকে নিষিদ্ধ করেননি—তার কাছে “সেই জবাব চাও”য়া উচিত।’জামায়াত নিয়ে টুকুর ওই বক্ত”ব্য প্রকাশের “পরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর মধ্যে “”নানা সমালোচ”না ও গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রে”ক্ষিতে দলে”র অবস্থান পরিষ্কার করে বিবৃতি দেয়
বিএন”পি। বিবৃতিতে” টুকু সেক্যুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা), পলিটি”ক্যাল ইস”লাম (রাজনৈতিক ইসলাম) এবং জামায়া”তে ইসলামী” সম্পর্কে যে মতামত প্রদান করেন, তা বিএ”নপির অব”স্থান নয় বলে জানানো হয়। বলা হয়, ‘টুকুর” ওইসব বক্ত”ব্য এবং মতামত একান্তই তার নিজস্ব, এর স”ঙ্গে দলের “কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’ হঠাৎ ভারত সফর নি”য়ে ইকবা”ল হাসান মাহমুদ টুকুর বক্তব্য জানা
সম্ভব হয়”নি। মোবাইল “ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও” তিনি তা “রিসিভ করেননি। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বর্ত”মানে বিএ”নপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তবে তিনি ১৯৮৬ “সালের তৃ”তীয় এবং ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ “নির্বাচনে জা”তীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিরা”জগঞ্জ-২ আ”সন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর” বিএনপিতে” যোগ দিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম
জাতী”য় সংসদ নি”র্বাচনে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত” হন”। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামা”য়াত জোট “সরকারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাল”ন করেছি”লেন। ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকা”র সম্পত্তি”র হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার
অভি”যোগে দুদকে”র উপপরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের” মার্চে “সা”বেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহা”ম্মদপুর থা”নায় মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্ব”র বিচারিক” আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরে”র কারাদণ্ড “দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল
করলে” ২০১১ সালে”র ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাই”কোর্ট। হাইকো”র্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল কর”লে ২০১৪ সা”লের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পু”নঃশুনানির” আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বি”ভাগের এই” রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন ক”রেন টুকু। পরে” ওই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।