সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
তবে আগামীকাল শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কমতে পারে।
এ ছাড়া সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় দেশের তিন সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে
বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাংশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর
বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা,
বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি
হতে পারে। এ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয় আবহাওয়া বার্তায়।
মৌসুমি বায়ু বেশি সক্রিয় থাকায় সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং কক্সবাজার
উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাগরের নৌযানগুলোকে উপকূলের
কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে
ময়মনসিংহে ৩৭৮ মিলিমিটার। এ ছাড়া নেত্রকোনায় ৩৫১ মিলিমিটার, ঢাকায় ৬৫ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ২৩০ মিলিমিটার,
ফরিদপুরে ২৩২ মিলিমিটার, কিশোরগঞ্জে ৩১১ মিলিমিটার, বগুড়ায় ১৩৪ মিলিমিটার ও রাজশাহীতে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।