নির্মাতা মোহন খান আর নেই

নাট্যনির্মাতা মোহন খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার সময় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রথম আলোকে মোহন খানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তাঁর ভাগনে তুষার খান।

মোহন খানের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ মাসের শুরুর দিকে প্রথম আলোকে মোহন খানের ছেলে ইউশা মোহন জানিয়েছিলেন, শুরুতে তাঁর বাবাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে মোহন খানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

  • ফি’লিস্তিনের ২ লাখ পরিবারে শিগগিরই বন্ধ হচ্ছে জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা
  • ইউশা মোহনের কাছ থেকে এ–ও জানা যায়, গত মাসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহন খান। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর তাঁরা জানতে পারেন, মোহন খানের ব্রেনে টিউমার হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেই টিউমারের অস্ত্রোপচার করতে হয়। তারপর শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকেই যাচ্ছিল। এর মধ্যে ঘাড়ে স্পাইনাল কর্ডের ওপরের প্রেশার পয়েন্টে একটি অস্ত্রোপচার করতে হয়। এর পর থেকেই তাঁর বাবা লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

    তুষার খান জানান, হাসপাতালের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোহন খানের মরদেহ তাঁর লালমাটিয়ার বাড়িতে নেওয়া হবে। বুধবার বাদ জোহর লালমাটিয়া শাহি মসজিদে তাঁর জানাজা হবে। এরপর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে মা–বাবার কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে। মোহন খানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

  • নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি দেশে তৈরি হয়নি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
  • দেশের নাট্যাঙ্গনে মোহন খানের বিচরণ তিন দশকের বেশি সময়ের। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ করেন। পাশাপাশি নাটক রচনাও করেন। তাঁর পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচারিত হয়। তাঁর লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড়ের খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুরলতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন। সবশেষ তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *