নারী শিক্ষা কর্মকর্তার ‘অশ্লীল’ ছবি ছড়ানোর অভিযোগে শিক্ষকের কারাদণ্ড

নারী শিক্ষা কর্মকর্তার ছবি এডিটিংয়ের মাধ্যমে ‘অশ্লীলভাবে’ উপস্থাপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের এক সহকারী শিক্ষককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ওই শিক্ষকের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল ময়মনসিংহ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. মসিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আইসিটি আইনে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুজন অভিযুক্তকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার আসামির উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. বজলুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

আইনজীবী মসিউর রহমান বলেন, তৎকালীন গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীনের ছবি অশ্লীলভাবে কাটিং করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন আসামি লাজুক। ওই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি লাজুককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

সাজাপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক হলেন—কয়েস আল কায়কোবাদ ওরফে লাজুক (৪০)। তিনি উপজেলার ৫০ নম্বর ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

মামলার বাদী মনিকা পারভীন এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন শিক্ষক সমাজ গঠনের কারিগর। তিনি অপরাধে জড়ালে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। লাজুকের এ শাস্তি সবার জন্য একটি সতর্কবার্তা।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন লাজুকসহ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *