নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন কেরাবো এলাকা থেকে জামায়াতের নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মো. মমিনুল হক সরকারসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গত ১ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চন ইউনিয়নের কেরাবোর দেওয়ান বাড়ির মসজিদ থেকে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ভোলাব তদন্তের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও ফতুল্লার থানার মৃত হাজী মাতবর আলীর ছেলে মমিনুল হক (৭০), রূপগঞ্জ থানা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন বাজার এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাহফুজুল ইসলাম (৫৩), রূপগঞ্জ থানা জামায়াতের সদস্য ও উপজেলার বাঘবেড় বাজার এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৩), ভোলাব চারিতালুক এলাকার হামিদ মাতবরের ছেলে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন (৫৩), দেবই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে জামায়াত নেতা রকিবুজ্জামান (৫১), কাজিরবাগ এলাকার গণি মিয়ার ছেলে জামায়াত নেতা জাকির হাসান (৪২), টাওড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে জামায়াত নেতা শহিদুল্লাহ (৩২), চারিতালুক এলাকার কালু মিয়ার ছেলে জামায়াত নেতা শহিদুল্লাহ (৬৩), কালনী এলাকার মৃত আবদুল সিদ্দিকের ছেলে জামায়াত নেতা মজিবুর রহমান (৫৭), কাঞ্চন এলাকার শহর আলীর ছেলে জামায়াত নেতা আবদুস সাত্তার (৬৫), বাঘবেড় এলাকার ওসমান আলীর ছেলে জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ইস্রাফিল, কাঞ্চন এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট ওসমান আলী খান, বৈলদা এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে জামায়াত নেতা নূর আলম (৫১), তিন ওলুপ এলাকার মৃত ইউনূস আলীর ছেলে জামায়াত নেতা শহিদুল্লাহ, বাঘবেড় এলাকার সুলতান উদ্দিনের ছেলে জামায়াত নেতা খায়রুল ইসলাম।
ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার পুলিশ জানতে পারে কেরাবো এলাকায় দেওয়ান বাড়ির মসজিদের সামনে ফাঁকা জায়গায় জামায়াত নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র ও নাশকতার সৃষ্টির প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। এ সময় ৭টার ৪৫ মিনিটে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীরা পালানো চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশ জেলা জামায়াতের আমির মমিনুল হকসহ ১৫ জন জামায়াত নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে ৪ মোটরসাইকেল, লাল কস্টেপে মোড়ানো ২০টি ককটেল, ২৪টি বাঁশের লাঠি, ৮ ইসলামিক বই উদ্ধার করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ১৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আমির মো. মমিনুল হক সরকার ও অ্যাডভোকেট ইস্রাফিলসহ গতকাল সন্ধায় রূপগঞ্জ উপজেলার কেরাবো এলাকা থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছেন। জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের এক জরুরি বৈঠকে এ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অনতিবিলম্বে জেলা আমিরসহ নেতাদের মুক্তির দাবি করা হয়।