চীনের সঙ্গ ছাড়লে দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার বলে মানবে যুক্তরাষ্ট্র!

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী বিবেক রামাস্বামী বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে রাশিয়া যদি চীনের সঙ্গ ত্যাগ করে, তবে দেশটি ইউক্রেনের যে পরিমাণ ভূখণ্ড দখল করেছে, তা মস্কোর বলে মেনে নেব ওয়াশিংটন। পাশাপাশি ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্য হতে না পারে, সে বিষয়েও দৃঢ় অবস্থান নেবে ওয়াশিংটন।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রামাস্বামী বলেন, চীনের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য রাশিয়াকে বেইজিংয়ের পাল্লায় পড়তে না দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি নির্বাচিত হলে এই লক্ষ্য অর্জন করতে মস্কোকে একটি ‘প্রস্তাব’ দেবেন।

বিবেক রামাস্বামী বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে বর্তমানে যে নিয়ন্ত্রণরেখা রয়েছে সেটিকেই চূড়ান্ত বলে মেনে নেবেন। পাশাপাশি ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্য না হয়, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন দৃঢ় অবস্থান নেবে এবং রাশিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তবে বিনিময়ে রাশিয়াকে চীনের সঙ্গে থাকা সামরিক সম্পর্কে ইতি টানতে হবে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কী পদক্ষেপ নেবেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে রিপাবলিকান এই নেতা বলেন, ‘আমার লক্ষ্য পরিষ্কার। আমি এমন একটি প্রস্তাব দেব, যাতে তিনি (ভ্লাদিমির পুতিন) রাজি হবেন। তবে এটি মূলত মার্কিন স্বার্থকেই জয়ী করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি করতে গিয়ে আমি যা করব তা হলো—আমি দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান নিয়ন্ত্রণরেখাকে মেনে নেব। এ ছাড়া আমি একটি দৃঢ় অঙ্গীকার করব যে, ন্যাটো ইউক্রেনকে জোটভুক্ত করবে না। পুতিনকে চুক্তিতে রাজি করানোর জন্য এটিই যথেষ্ট। তবে বিনিময়ে আমি আরও বড় কিছু অর্জন করতে চাইব।’

তিনি কী অর্জন করতে চান—এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা বলেন, ‘রাশিয়াকে চীনের সামরিক সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। এখন আমরা মূলত রাশিয়াকে আরও চীনের কাছাকাছি ঠেলে দিচ্ছি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র যেসব হুমকি মোকাবিলা করছে, তার মধ্যে রাশিয়া-চীনের সম্মিলিত সামরিক শক্তিমত্তা সবচেয়ে বড়। ১৯৭২ সালে রিচার্ড নিক্সন এই কাজ করেছিলেন (চীনকে রাশিয়া থেকে দূরে রেখেছিলেন), এখন আমিও সেই একই কাজ করতে চাই, তবে বিপরীতক্রমে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *