সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ বিভিন্ন সময়ে নানান প্রতিকূল পরিস্থিতি দিয়ে আমাদের পরীক্ষা করেন। দেখেন আমরা তার কতটুকু অনুগত। সুরা মুলকের ২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’
বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। প্রবল শক্তি নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের জন্য বড় পরীক্ষা। এ সময় প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। আশা রাখতে হবে, আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সবরকমের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
আল্লাহ বলেন, ‘জলে-স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল’ (সুরা রুমের : ৪১)। অর্থাৎ আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী এরূপ পরীক্ষা ও বিপদ-আপদ আসে মানুষের গোনাহের কারণে। তাই যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে হতাশ না হয়ে বরং নিজের গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবা করা ও বেশি বেশি তাকে স্মরণ করা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় ও প্রতিকূল অবস্থায় রাসুল (সা.) খুব বিচলিত হয়ে পড়তেন এবং আল্লাহর শাস্তির ভয় করতেন। এ সময় তিনি তওবা-ইস্তেগফার-নামাজে মশগুল হতেন ও তার সাহাবাদেরও বেশি বেশি তা করার নির্দেশ দিতেন।
Ruchi
এ জন্য ঘূর্ণিঝড় মোখার সময়ও আমাদের এ আমলগুলোর প্রতি যত্নবান হতে হবে। বিশেষত অতীতের সব গোনাহ ও ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করে নিতে হবে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে রাসুল (সা.) কয়েকটি দোয়া শিখিয়েছেন।
১. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা।’ অর্থ- হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই (আবু দাউদ : ৪/৩২৬, হাদিস : ৫০৯৯)।
২. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হাজিহির রিহি ওয়া খাইরা মা ফিহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’ অর্থ- হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং যা এর সাথে প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে নিহিত অনিষ্ট থেকে এবং যা এর সঙ্গে প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে (বুখারি, ৪/৭৬, হাদিস : ৩২০৬ ও ৪৮২৯)।