দেড় বছর আগের ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে মানিকগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এ ডাকাতি করেছিলেন স্বামী।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন।
পিবিআই মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত জাহিদ ও বাবু করিরাজকে রোববার গ্রেপ্তার করে সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পিবিআই সূত্র জানায়, ২০২২ সালে ৬ মার্চ রাতে ডাকাত দল সিংগাইর উপজেলার চাকুলিয়া গ্রামে আরিফ মোল্লার বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ডাকাতি করে।
এসময় তারা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, কানে থাকা ৮ আনা ওজনের দুজোড়া স্বর্ণের দুল, দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় তখন সিংগাইর থানায় ডাকাতি মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহকর্তা মো. আরিফ মোল্লা। তবে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ। চলতি বছর মার্চে মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে পিবিআই মানিকগঞ্জ তদন্তের দায়িত্ব পান।
মামলাটি তদন্ত করেন এসআই (নি.) হিরণ চন্দ্র মজুমদার। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেন তিনি। এরপর বেরিয়ে আসে ক্লুলেস ডাকাতি মামলার আসল কাহিনী। জানতে পারেন গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ মেটাতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন অভিযুক্ত জাহিদ মোল্লা। ডাকাতি করতে সঙ্গে নেন ফরিদপুরের ডাকাত বাবু কবিরাজ (৩৫)কে।
প্রথমে মূল পরিকল্পনাকারী জাহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফরিদপুর থেকে বাবু কবিরাজকেও গ্রেপ্তার করা হয়।