দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েই দিয়েছিলেন বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। মঙ্গলবার প্রয়াত হলেন জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক।
প্রয়াত হলেন হিথ স্ট্রিক। জিম্বাবোয়ের এই প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। মঙ্গলবার প্রয়াত হন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
১৯৯৩ সালে ১০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় স্ট্রিকের। দেশের হয়ে ১৮৯টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। টেস্টে ১৯৯০ রান এবং ২১৬টি উইকেট রয়েছে তাঁর। সাদা বলের ক্রিকেটে ২৯৪৩ রান এবং ২৩৯টি উইকেট রয়েছে। ২০০৫-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। দেশকে ২১টি টেস্ট এবং ৬৮টি এক দিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২১ সালে তাঁকে আট বছরের জন্যে নির্বাসিত করে আইসিসি। দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ৪৯ বছরের ক্রিকেটার পরে ক্ষমা চান এবং জানান ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে কোনও দিনই তিনি যুক্ত ছিলেন না।
কোলন এবং যকৃতের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্ট্রিক। গত মে মাসে এই খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে। দক্ষিণ আফ্রিকার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। তখনই চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্ট্রিকের বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ডেভিড কোলটার্ট তখনই বলেছিলেন, একমাত্র অলৌকিক কিছুই স্ট্রিককে বাঁচাতে পারে। তিনি জানিয়েছিলেন, “জিম্বাবোয়ে এবং বাকি বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এটা একটা প্রার্থনার যুদ্ধ। হিথ স্ট্রিক, আমাদের দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এখন গুরুতর অসুস্থ। আমাদের প্রার্থনা ওর ভীষণ ভাবে দরকার। ওর এবং ওর পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।”
বরাবরই পিছিয়ে থাকা জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটে স্বর্ণযুগ ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল। সেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন স্ট্রিক। তিনিই জিম্বাবোয়ের একমাত্র বোলার, টেস্টে যাঁর ১০০-র উপর উইকেট রয়েছে। এক দিনের ক্রিকেটে তিনি জিম্বাবোয়ের চতুর্থ ক্রিকেটার যাঁর এই কীর্তি রয়েছে। জিম্বাবোয়ের একমাত্র ক্রিকেটার হিসাবে টেস্টে ১,০০০ রান ও ১০০ উইকেট এবং এক দিনের ক্রিকেটে ২,০০০ রান ও ২০০ উইকেট রয়েছে স্ট্রিকের।
তাঁর মৃত্যুতে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটে একটা অধ্যায়ের শেষ হল।