কারো সাথে মা, কারো বাবা : হাকিমিদের সাফল্যের রহস্য তাদের পরিবার!

শক্তিশালী পর্তুগালকে হারিয়ে আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করেছে মরক্কো। ইউসুফ আল নাসিরির দেয়া একমাত্র গোলে পর্তুগালকে হারিয়ে এদিন ইতিহাস গড়েছে মুররা। আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সেমিফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে তারা।

পর্তুগালকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস রচনার এ ম্যাচ শেষে উদযাপন ও দলের সাথে ছবি তোলার জন্য মাকে মাঠে নিয়ে আসেন জয়ী দলের সদস্য সোফিয়ান বুফল। এ সময় আল থুমামা স্টেডিয়ামের টার্ফে তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্তের। এ সময় মা-ছেলেকে দেখা যায় হাস্যোজ্জ্বল মুখে। পরে দলের সবাই এসে ছবি তোলেন বুফলের মায়ের সাথে। ঐতিহাসিক এক ম্যাচে শেষে নেচে-গেয়ে মা-ছেলের করা উদযাপন সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এর আগে, বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয়ের পর গ্যালারিতে থাকা মায়ের সাথে উদযাপন করেছিলেন আশরাফ হাকিমি। সেই সময় তোলা ছবিতে দেখা গেছে হাকিমির গালে চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন তার মা। তাদের ওই ছবিও ভাইরাল হয়েছিলো, প্রশংসা কুড়িয়েছিলো সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীর।

প্রসঙ্গত, মরক্কোর বিশ্বকাপ মিশনে খেলোয়াড়দের সাথে আছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি ও রয়্যাল মরক্কান ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ নির্দেশক্রমেই বিশ্বকাপ মিশনে খেলোয়াড়দের সাথে আছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। এমনকি, স্বয়ং কোচ রেগরাগির মা রয়েছেন দলের সবার সাথে। এ প্রসঙ্গে মরক্কোর স্পোর্টস চ্যানেল আরিয়াদিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কোচ রেগরাগির মা ফাতিমা বলেন, খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ওর এতোদিনের ক্যারিয়ার।

কিন্তু আমি কখনও ওর খেলা দেখতে মাঠে যাইনি। এটা আমার জন্য খুব দারুণ একটা ঘটনা। আমি গত ৫০ বছর ধরে ফ্রান্সে বসবাস করছি। এই প্রথম আমি ওর খেলা দেখতে প্যারিস ছেড়েছি। দলের মিডফিল্ডার আবদেলসাবরির বাবা-মাকেও প্রায়ই দেখা যায় দোহার বিভিন্ন রাস্তায় সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিতে বা হাস্যোজ্জ্বল মুখে দলের ভক্তদের সাথে সেলফি তুলতে। মরক্কোর ফুটবল খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদের সাথে তোলা এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন আলোড়ন তুলেছে; তেমনি বার্তা দিচ্ছে এক ইতিবাচক ফুটবল সংস্কৃতির। পরিবারের কাছাকাছি থাকার ম্যাজিক্যাল ইফেক্টই হয়তো মরক্কোর এমন সাফল্যের রহস্য!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *