এবার সরকারপন্থি সমমনা ও ধর্মভিত্তিক ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জোটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নতুন এ জোটে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীকে চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরীকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র এবং বাকি দলগুলোর প্রধানদের কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
ফারাহনাজ হক চৌধুরীকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জোটের অন্য সঙ্গীরা হলেন আশিক্কীনে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শাহ সুফি সৈয়দ আলম নূরী আল সুরেশ্বরী, বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি) চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) চেয়ারম্যান মো. হাসরত খান ভাসানী।
শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের নির্বাহী চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, লিবারেল ইসলামিক জোটের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। আমাদের সমস্যা আমরাই সমাধান করব।
জোটের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য স্বল্পমূল্যে ক্রয়ের সুবিধা দেওয়া, সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হোতাদের গ্রেপ্তার ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের সুযোগ ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
ডেঙ্গু নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করতে হবে। পলিথিন ব্যাগ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং এসব প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দিতে হবে।
দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবর্তিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের আরও সংশোধনী এনে এর অপব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।
সব নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা ও নেতাদের ছবিসহ নাম-ঠিকানা দেশবাসীকে অবগত করতে হবে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম এবং দুর্নীতি বন্ধ করতে গণশুনানির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।