রেলখাতের অব্যবস্থাপনা’ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিকে’ নানা প্রশ্ন করে জনতার ধাওয়ার শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। তার নাম এম’ এ সূর্য। নিজেকে সবুজবাগ আওয়ামী’ লীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে’ রাজধানীর
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে’ এসে রনিকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন এম এ সূর্য। পরে উপস্থিত’ জনতা তাকে ধাওয়া করলে পুলিশের সহায়তা নিয়ে’ তিনি সরে পড়েন।এম এ সূর্যের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে’ তিনি বলেন, মহিউদ্দিন রনিসহ আন্দোলনকারীরা দেশের’ ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। তিনি ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আন্দোলন’ করছেন গত ৬ তারিখের পর থেকে। তার দাবিগুলো’ রেলওয়েকে জানানো হয়েছে। রেলওয়ে সেসবের উত্তরও’ দিয়েছে। তারপর তিনি কেন আন্দোলন করছেন?গত ৭ জুলাই থেকে’ রেলওয়ের
অব্যবস্থাপনা-যাত্রী হয়রানির’ প্রতিবাদে ছয়দফা দাবিতে হাতে শিকল বাঁধা অবস্থায় কমলাপুর রেলস্টেশনে’ অবস্থান করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার’ অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী’ মহিউদ্দিন রনি। মূলত রনি
শুরুতে একা আন্দোলন করলেও পরে তার বন্ধু, সহপাঠীসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও’ অবস্থান নেন। কদিন ধরে সেখানে তারা গান, কবিতা, পথনাটকের’ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। এদিকে কমলাপুর’ রেলওয়ে স্টেশনের সামনে অবস্থান করে রনি রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর
হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। বিকেলে’ তিনি এ হস্তক্ষেপ চান। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী’ উপস্থিত রয়েছেন। রাত ৮টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান’ করেন। আন্দোলন করায় মহিউদ্দিন রনিকে বিতর্কিত করার’ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি
করেছেন তিনি নিজেই কারা’ এবং কেন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে- এমন বিষয়ে জানতে চাইলে’ তিনি বলেন, রেলের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে সারা’ বাংলাদেশের মানুষ জানে। যারা বিতর্কিত করতে এসেছিল তারা’ কারা আমি জানি না। এটা
নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র। তারা বারবারই আসে ঝামেলা করতে। যিনি এসেছিলেন, তিনি রেল’ সিন্ডিকেটের লোকও হতে পারে। আমি বলব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী’ তাকে জিজ্ঞাসা করুক, তিনি কেন এসেছিলেন।আন্দোলনকারী মহিউদ্দিন রনির দাবিগুলো হচ্ছে— টিকিট কেনার’ ক্ষেত্রে সহজ ডট কমের
যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ’ করা এবং হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ’ করা; অনলাইনে কোটায় টিকেট ব্লক করা বা বুক করা’ বন্ধ করা, সেই সঙ্গে
অনলাইন-অফলাইনে টিকিট’ কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা’ নিশ্চিত করা; যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোসহ’ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা’ নেওয়া; ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও
তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড’ সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য’ সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বৃদ্ধি করা’ এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি’ সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।